খতিয়ান,দলিল, জমিজমা সংক্রান্ত মামলা-মােকদ্দমা ও ডকুমেন্টে ব্যবহৃত কিছু শব্দের অর্থ
* কস : কস্য শব্দের অর্থ কাহার'। দলিলে এই শব্দের ব্যবহার প্রায়শই দেখা। যায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে অমুকস্য তথা অমুকের’ বা ‘যাহার দলিল তাহার নাম' এর হলে কস্য শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানের দলিলে এইসব শব্দ পরিহার
* কার্যাগে : ইহাই অগ্রে কর্তব্য
* মষিলা : পাহাড়ী এলাকার নিম্নমানের জমি।
* গাউডি: কিছুটা উচু প্রকৃতির জমি( নাল জমির চাইতে)।
* চিরাগী : কবর স্থান মসজিদ আলােকিত করার নিমিত্তে উৎসর্গীকৃত নিস্কর ভূমি।
* কবুলিয়ত (Counter part of lease): মালিকের বরাবরে প্রাপ্তির স্বীকারােক্তিমুলক দলিল।
* কায়েমী : কায়েমী শব্দ দ্বারা নির্দিষ্ট খাজনা বুঝায় না, চিরকালের জন্য দখল করা। বুঝায়।
* কায়েমী স্বত্ব : চিরস্থায়ী ভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া। ভূমিকে কায়েমী স্বত্ব বলে।
* মৌরশী (Heritable): পুরুষানুক্রমে কোন ভূমি ভােগদখল করা।
* মুদাফৎ : যার নামে প্রথম কোন জোতের সৃষ্টি হয়।
* বায়া (Vender of seller) : বিক্রেতা।
* রায়ত : দখলী স্বত্ব বিশিষ্ট প্রজা।
* তৌজি: ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় জমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী। বই থাকে তাকে বলা হয়। জমিদারের অধীনে প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।
* পত্তন (Settlement lease) : সাময়িক বন্দোবস্ত।
* পওনী : যা সাময়িকভাবে বন্দোবস্তীকৃত লীজকে পত্তনী বলে।।
* পাট্টা : মালিক কর্তৃক প্রজাকে দেয়া দলিল। এতে প্রজার স্বত্ব ও দায়িত্ব বণিত থাকে।
*পর্চা : জরীপ চলাকালীণ অবস্থায় খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।
*দখলী স্বত্ত্ব : দখলকার হিসাবে প্রজার যে স্বত।
* দর : অধীনস্থ।
* দর তালুক: অধীনস্থ তাল " ।
* দর রায়ত : অধীনস্থ রায়ত
*দর পত্তনি : সাময়িক বন্দোবস্তের অধীন।
* ঠিকা রায়ত : নির্দিষ্ট মেয়াদের দখলকারকে ঠিকা রায়ত বলে। এ জাতীয় রায়তের দখলীস্বত্ব নাই।।
* মকরবী : মকরবী অর্থে নির্দিষ্ট খাজনা বুঝায়।
* কায়েমী মকরবী : খাজনা নির্দিষ্ট বুঝায়।
* কায়েমী মৌরশী : চিরস্থায়ী ও উত্তরাধিকারী সুত্রে প্রাপ্তব্য বুঝায়।
* ঠিকা রায়ত : নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িক দখলকার। এরূপ রায়তের কোন দখলি। স্বত্ব নেই।
* কিসমত : মৌজার অংশকে কিসমত বলে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিকেও কিসমত বলা হয়ে থাকে।
* চিরস্থায়ী মকরবী লিজ : চিরস্থায়ী মকরবী লিজ অর্থে প্রজাস্বত্ব যে চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্তব্য ও হস্তান্তরযােগ্য এবং খাজনার চিরকালের জন্য নির্দিষ্ট তাহা বুঝায়।
* রেঃ সাঃ নং : রেভিনিউ সার্ভে নাম্বার।
* কিত্তা : কিত্তা অর্থ প্লট। সাধারণতঃ চার আইল দ্বারা বেষ্টিক জমিকে কিত্তা বলা হয়।
* লাখেরাজ : নিষ্কর।
* খিরাজ : খাজনা কর।
* বয়নামা : আদালত কর্তৃক দেয় বিক্রয় সার্টিফিকেট (দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের অর্ডার ২১, রুল ৯৪ মতে)।
* ডি. সি, আর (ডুপ্লিকেট কার্বণ রিসিট) : ভূমি উন্নয়ন কর ছাড়া অন্যান্য সরকারী। পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে যে রসিদ দেয়া হয়।
* অৰ্চাৰ্ড (Orchard) : মনুষ্য শক্তির প্রক্রিয়া দ্বারা উৎপাদিত ফুল গাছের বাগান এবং তৎসহ নারিকেল, সুপারি এবং পানিফল ইত্যাদিকে বুঝায় ।
* কট কবলা (Mortgage) ; মহাজনের দখলে জমি দিয়ে সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহন করে যে দলিল দেয়া হয়।
* গির্বি : বন্ধক।
* জোত : এক প্রকারের প্রজাস্বত্ব ।
* তছদিক : প্রমান।
* তুদাবন্দী: সীমানা নির্দেশ।
* তালুক : নিম্নস্থ স্বত্ব।
* দরবন্ত : সমুদয়।
* বিতং : বিস্তারিত
* বায়া দলিল : বিক্রয় দলিল।
*মালগুজার : ভূমির মালিককে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকারকে যে রাজস্ব প্রদান করা হয় সেই রাজস্বকে মালগুজার বলা হয়।
* রায়ত : দখলি স্বত্ব বিশিষ্ট প্রজা।
*কোর্ফা পত্তন (Sub-letting) : কোন প্রজাস্বত্বের আধীনে থেকে ইজারা প্রদান। অথাৎ অধীনস্থ ইজারাই হলাে কোফা পত্তন।। ১৯৫০ সালের ষ্টেট একুইজিশান ও টেন্যান্সি এ্যাক্টের ৯৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোন রায়ত তার জোতের সম্পূর্ণ অংশ কিম্বা তার কোন অংশ বিশেষ কোন শর্ত বা শর্তাবলীর উপর ভিত্তি “কোফা পত্তন করতে পারবেন না। (No raiyat shall sublet the whole or any part of his holding on any terms or conditions whatsoever.) একই আইনের ৭৫ক(২) ধারায় বলা হয়েছে, যে কোফাপত্তন দেবে, তার কোফা পত্তনের সেই জমি সরকার বাজেয়াপ্ত করবে এবং সরকারের হাতে ন্যাস্ত হবে।
*কোর্ফা রায়ত : কোন রায়ত জোতদার হতে খাজনার ভিত্তিতে নাল জমির বন্দোবস্তী গ্রহন করলে, তখন তাকে কোফা রায়ত বলে।
*দর রায়ত : কোন রায়ত জোতদার হতে খাজনার ভিত্তিতে নালজমির বন্দোবস্তী গ্রহন করলে, তখন তাকে দর রায়ত বলে।
*পত্তনী তালুক: জমিদার বা তালুকদার তাদের জমিদারীর বা তালুকের কোন অংশ নির্দিষ্ট খাজনায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করলে তাকে পত্তনী তালুক বলে। এটাও কায়েমী মধ্যস্বত্ব বলে বিবেচিত হবে। পত্তনীর অধীন দর পত্তনী, পদ দর পত্তনীর অধীন ছে-পত্তনী ইত্যাদি স্বত্ব গুলিও কায়েমী মধ্যস্বত্ব বা অধীন মধ্যস্বত্ব।
*প্রজাবিলি : প্রজার অনুকুলে যথাযথ ভাবে বন্দোবস্তীকৃত ভূমি।।
*আলতামঘা: ধর্মীয় কাজের জন্য বাদশাহী সনদ দ্বারা বংশানুক্রমিকভাবে চিরস্থায়ী ভােগের জন্যে দেয়া ভূ-সম্পত্তি।
*আমলনামা: ভূম্যাধিকারী কর্তৃক জমি বন্দোবস্তি দিয়ে তা দখল করার জন্যে প্রজার বরাবরে দেয়া নির্দেশ পত্র। *কটকিনিদার: দর ইজারাদার, যিনি ইজারাদার হতে কোন সম্পত্তি ইজারা নেন।
*ইস্তেমরারি পাট্টা: চিরস্থায়ী বন্দোবস্তির দলিল।
*উদৰস্তে: বাড়ির সংলগ্ন জমি।
*মৌয়াজি : মােট।
*করারে: অঙ্গীকারে।
*কিসমত: মৌজার একটি অংশ।
*জমা : রাজস্ব বা খাজনা।
*দায়েমী: চিরস্থায়ী।
*পাট্টা ও কবুলিয়ত: জমি ও খাজনার বিবরণ সম্বলিত জমিদার তালুকদার ইত্যাদি ভূমধ্যাধিকারী কর্তৃক প্রজার বরাবরে সম্পাদিত ভূমি বন্দোবস্তির দলিল। অপরদিকে প্রজা কর্তৃক খাজনা দেওয়ার অঙ্গীকারে ভূমধ্যাধিকারীর | বরাবরে সম্পাদিত দলিল হলাে কবুলিয়ত। |
*স্থিতিবান: যে রায়তের স্বত্ব স্থায়ী।
*মহাল: রাজস্ব আদায়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা।
*ইজা: চলমান। পূর্বেব হিসাব থেকে স্থিত টেনে আনা।
*দোং : (দোপ্তরে) পিতা।
*জং: (জওজিয়তে) স্বামী ।
*আং: আহলিয়ে বা স্বামী।
*মং: মবলগে।
*সাং : সাকিন। |
*গং: গয়রহ অর্থাৎ সকল।
কোর্ফা রায়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়
ReplyDelete